Author: Health Technology Master

Healthy Lifestyle স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাখাদ্য ও পানীয় Food & Drinksরোগ ও ব্যাধি Health Condition

অস্বাস্থ্যকর অন্ত্রের 9টি লক্ষণ: 9 Sign of Unhealthy Gut:

আমাদের পৌষ্টিকতন্ত্রে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই জীবাণুগুলি আমাদের অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম অর্থাৎ অন্ত্রের পরিবেশ রক্ষা করে। কিছু ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, আবার কিছু ক্ষতিকর হতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তির অন্ত্রে ভালো ও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে ব্যালেন্স থাকে। আর একারণে বদহজম বা ইনফেকশন এর সমস্যা থাকে না, পুষ্টি ও শোষণ ভালো হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবে কাজ করে।

অন্ত্রের স্বাস্থ্য খারাপ হলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, গ্যাস, ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে অন্ত্রের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে এবং  আই বি ডি অর্থাৎ ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ-এর মত রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

Read More
Healthy Lifestyle স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাখাদ্য ও পানীয় Food & Drinksরূপ চর্চা Beauty Tips

ম্যাগনেসিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ: দেহে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব আছে কিনা বুঝবেন কিভাবে? Worning Signs of Magnesium Deficiency.

আমাদের শরীরের কাজ স্বাভাবিক রাখার জন্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। যে সকল খনিজ মৌলগুলি আমাদের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য অধিক মাত্রায় প্রয়োজন হয় তাদের মেজর এলিমেন্ট বা অতি-মাত্রিক খনিজ মৌল বলা হয়। ম্যাগনেশিয়াম একটি অতি-মাত্রিক খনিজ মৌল। এটি 300টির বেশি জৈবরাসায়নিক বিক্রিয়ার সাথে জড়িত। তাই হৃৎপিণ্ড, পেশী, স্নায়ু, হাড়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণ, শক্তি উৎপাদন ইত্যাদি কাজে ম্যাগনেশিয়ামের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

রক্তে ম্যাগনেশিয়ামের অভাবকে হাইপোম্যাগনেশেমিয়া বলা হয়। রক্তরসে অর্থাৎ সিরামে ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ 1.8 মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার অর্থাৎ 0.74 মিলি-মোল/লিটার-এর কম হলে, দেহে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব আছে বলা হয়।

ম্যাগনেশিয়াম যুক্ত খাদ্য কম গ্রহণ করলে দেহে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব হতে পারে। এছাড়া যারা মদ্যপান করেন, যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং যারা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেন, তাদের দেহে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব দেখা যেতে পারে। সাম্প্রতিককালের একটি গবেষণায় ম্যাগনেসিয়ামের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও বেশ কিছু তথ্য জানা গিয়েছে।

Read More
খাদ্য ও পানীয় Food & Drinksরূপ চর্চা Beauty Tips

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা কি? কোন রোগের জন্য কিভাবে লবঙ্গ ব্যবহার করবেন? Health benefits of eating cloves. What is the best way to consume cloves?

লবঙ্গ হল সিজিজিয়াম অ্যারোমাটিকাম (Syzygium aromaticum) নামক বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদের ফুলের কুঁড়ি। সাধারণত গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলে এই গাছগুলি জন্মায়। লবঙ্গ গাছ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে। এদের বাকল মসৃণ, পাতা সুগন্ধযুক্ত এবং গোলাপি সাদা রংয়ের ফুল ধরে। এই ফুলগুলিকে অপরিণত অবস্থায় অর্থাৎ কুঁড়ি অবস্থায় সংগ্রহ করে শুকিয়ে নিলে তাকে লবঙ্গ বলা হয়।

শুকিয়ে গেলে লবঙ্গ গুলিকে সম্পূর্ণ গোটা মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় অথবা গুঁড়ো করেও ব্যবহার করা যেতে পারে। লবঙ্গ গাছের শুকনো কাণ্ড ও পাতা থেকে সুগন্ধি তেল পাওয়া যায়। এই তেলও বেশ উপকারী। ইংরেজিতে লবঙ্গকে ক্লোভ(Clove) বলা হয়। ক্লোভ কথাটি ল্যাটিন ভাষা ক্ল্যাভাস(Clavus) থেকে এসেছে। ক্ল্যাভাস মানে হল নখ। লবঙ্গ দেখতে অনেকটা নখের মত হওয়ার কারণে লবঙ্গকে ল্যাটিন ভাষায় ক্ল্যাভাস বলা হয়।

Read More
Healthy Lifestyle স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রারোগ ও ব্যাধি Health Condition

পায়খানায় রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার। Blood In Stool: Causes & Treatment:

মলের মধ্যে রক্ত দেখলে আমরা সকলেই ভয় পেয়ে যায়। কী কারণে মলে রক্ত পড়ে এটা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই তেমন কোনো ধারণা নেই। তবে প্রথমেই এত চিন্তার কিছু নেই, কারণ এই ধরনের সমস্যা খুব সহজেই নিরাময় যোগ্য। এই প্রতিবেদনে পায়খানায় রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হল।

পৌষ্টিকতন্ত্রে অর্থাৎ গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল ট্রাক্টে আঘাত লাগলে, প্রদাহ সৃষ্টি হলে বা আলসার হলে রক্তপাত হতে পারে। পায়খানায় রক্ত পড়ার কারণগুলি নিয়ে আলোচনা করা হল।

Read More
খাদ্য ও পানীয় Food & Drinksসংবাদ News

রাতে ঘুমানোর আগে জল পান আবশ্যক। It is essential to drink water before going to bed at night.

রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই জল পান করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক গ্লাস উষ্ণ গরম জল পান করলে আমাদের

Read More
Healthy Lifestyle স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাখাদ্য ও পানীয় Food & Drinks

যে 10টি পরিবর্তন দেখলে বুঝবেন আপনি চিনি বেশি খান।  চিনি কেন সাদা বিষ? These 10 changes will tell you if you are eating too much sugar. Why is sugar a white poison?

প্রায় 2500 বছর ধরে আমরা চিনি ব্যবহার করে আসছি। এই সময়ের আগে মধু এবং ফলই ছিল একমাত্র মিষ্টি পদার্থ। দিনকে দিন আমাদের জীবনে চিনির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে, অথচ পুষ্টি হিসাবে চিনির তেমন কোন ভূমিকা নেই। এটি কেবল স্বাদ উপভোগ করার জন্য এবং প্রিয়জনদের স্বাগত জানানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

ইংল্যান্ডের অধ্যাপক জন ইউডকিন (John Yudkin) চিনির বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে বিশেষভাবে গবেষণা করেছেন। তিনি চিনিকে সাদা বিষ বলে উল্লেখ করেছেন। চিনির কোন শারীরবৃত্তিয় প্রয়োজন নেই। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরি ও পুষ্টি আমরা শাকসবজি, শস্য ও ফল থেকে পেতে পারি।

চিনি থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করলে শরীরে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। এর ফলে ওজন বেড়ে যায় ও বিভিন্ন রোগব্যাধির হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। অতএব সাদা চিনি থেকে প্রাপ্ত অতিরিক্ত ক্যালরি সম্পূর্ণ অবাঞ্ছিত। চিনিতে কোন ভিটামিন, খনিজ উপাদান বা পুষ্টি উপাদান থাকে না।

অনেকেই মনে করে যে চিনি তাৎক্ষণিক শক্তির উৎস; কিন্তু চিনি ও মিষ্টির মধ্যে পার্থক্য আছে। ফলের মিষ্টি স্বাদের কারণ হল ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ; কিন্তু চিনির মিষ্টির স্বাদের কারণ সুক্রোজ। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করলে দেহে রোগ ব্যধি বাড়ে। চিনি রক্তের কোলেস্টেরল বাড়ায় ও রক্তনালী স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস করে।

Read More
Healthy Lifestyle স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাখাদ্য ও পানীয় Food & Drinksরোগ ও ব্যাধি Health Condition

চোখের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার 7টি উপায়। 7 Ways to Find Relief From Eye Allergies:

যখন আমাদের চোখ অ্যালার্জেন অর্থাৎ অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থের সংস্পর্শে আসে, তখন আমাদের শরীর তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য হিস্টামিন তৈরি করে। হিস্টামিন নিঃসরণের ফলে চোখের পাতা ও চোখের সাদা অংশকে ঢেকে রাখা স্বচ্ছ টিস্যু কনজাংটিভায় জ্বালা হতে পারে। এছাড়া চোখ লাল হয়ে যায়, চুলকায়, চোখ দিয়ে জল পড়ে, চোখ ফুলে যায় ও অস্বস্তি হয়। সাধারণত উভয় চোখেই এই সমস্যা দেখা যায়।

অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিসের সাথে অন্যান্য আরও কিছু অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা যেতে পারে। মাথাব্যথা, নাক বন্ধ হওয়া, হাঁচি, কাশি, নাক চুলকানো, নাক থেকে জল পড়া, ক্লান্তি, চোখের নিচে কালো দাগ ইত্যাদি সমস্যা দেখা যেতে পারে।

Read More
Healthy Lifestyle স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাখাদ্য ও পানীয় Food & Drinksরোগ ও ব্যাধি Health Condition

গিলান ব্যারি সিনড্রোম: রোগ লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা। Guillain-Barre Syndrome: Symptoms, Causes & Treatment.

গিলান ব্যারি সিনড্রোম হল একটি বিরল অটোইমিউন রোগ যা আমাদের প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র কে অকেজো করে তোলে। স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। কিন্তু গিলান ব্যারি সিনড্রোম-এর ক্ষেত্রে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা রোগ জীবাণুকে ধ্বংস করতে গিয়ে অতি সক্রিয় হয়ে ভুল করে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র কে আক্রমণ করে।

মায়োলিন নামক পদার্থ স্নায়ুর আবরণ তৈরি করে। এছাড়া মায়োলিন আবরণী বার্তা পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গিলান ব্যারি সিনড্রোম হলে আমাদের ইমিউন সিস্টেম স্নায়ুর এই মায়োলিন আবরণীর ক্ষতি করে। এরফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ুগুলি স্পাইনাল কর্ড ও মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে পারে না। একারণে অসারতা অনুভব হয় ও পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই রোগ হঠাৎ করে শুরু হয় এবং কয়েক ঘণ্টা, দিন বা সপ্তাহের মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করে।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testরোগ ও ব্যাধি Health Conditionল্যাব টেস্ট Lab Test

ব্লাড কালচার টেস্ট: উদ্দেশ্য, পদ্ধতি ও ফলাফল। Blood Culture Test: Purpose, Procedure and Result.

ব্লাড কালচার পরীক্ষার সাহায্যে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের মতো রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু সনাক্ত করা হয়। এছাড়া জীবাণুটির বৃদ্ধি পরিমাপ করে রোগের তীব্রতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। রোগীর দেহ থেকে সংগ্রহ করা রক্তের নমুনা একটি পেট্রি ডিস বা টেস্ট টিউবে রাখা কৃত্রিম মাধ্যমে মেশানো হয়। এই মাধ্যমটি জীবাণুকে বড় হতে ও সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবার রক্তের নমুনা মিশ্রিত মাধ্যমটিকে নির্দিষ্ট তাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখা হয়। এরপর পেট্রি ডিস বা টেস্ট টিউবটি কয়েকদিন বা এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। জীবাণু বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা সেটা দেখা হয় এবং কত দ্রুত জীবাণুর বৃদ্ধি ঘটেছে সেটাও পর্যবেক্ষণ করা হয়। জীবাণুর বৃদ্ধি দেখা গেলে আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়। প্রয়োজনে আবার অন্য মাধ্যমে কালচার করা হয়। জীবাণুর পরিচয় জানার জন্য গ্রাম স্টেন নামক রঞ্জক ব্যবহার করে মাইক্রোস্কোপের নিচে দেখা হয়। এছাড়া আরও কিছু উন্নত পরীক্ষা যেমন পলিমারাইজ চেইন রিয়াকশন পরীক্ষা ইত্যাদি করা যেতে পারে।

রক্তের কালচার পরীক্ষার সাহায্যে জীবাণু সনাক্ত করার পাশাপাশি কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে চিকিৎসা করা দরকার সেটাও বোঝা যায়। কোন ধরনের ওষুধে রোগ সেরে যাবে এবং কোন ওষুধে রোগ সারবে না, সেটা জানতে এই টেস্ট বেশ উপযোগী। এই পরীক্ষার সাহায্যে রোগীর জন্য কোন চিকিৎসা পদ্ধতি সবচেয়ে উপযোগী সেটা বেছে নেওয়া সহজ হয়।

Read More
Healthy Lifestyle স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাখাদ্য ও পানীয় Food & Drinksপন্য Product

কোলাজেন বৃদ্ধির 10টি বৈজ্ঞানিক উপায়।  10 Scientific Ways to Boost Collagen.

কোলাজেন হল একটি তন্তু জাতীয় প্রোটিন যা আমাদের ত্বকের গঠনের 75 শতাংশ তৈরি করে। এটি আমাদের ত্বকের প্রধান বুনিয়াদ। কোলাজেন পেশি, হাড়, টেন্ডন, রক্তনালী, পৌষ্টিকতন্ত্র ইত্যাদি সহ অসংখ্য টিস্যুতে উপস্থিত থাকে। এটি ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে ও শরীরের কাজ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কোলাজেনের মাত্রা কমে গেলে আমাদের স্বাস্থ্যের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কোলাজেনের উৎপাদন স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পায়। কোলাজেনের অভাব হলে স্কার্ভি, রক্তাল্পতা, দুর্বলতা, ক্ষত নিরাময়ে দেরি হওয়া, হাড় দুর্বল হয়ে পড়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Read More