রাতে ঘুমানোর আগে জল পান আবশ্যক। It is essential to drink water before going to bed at night.
রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই জল পান করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক গ্লাস উষ্ণ গরম জল পান করলে আমাদের
Read Moreস্বাস্থ্যই প্রকৃত সম্পদ। Health is Real Wealth
রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই জল পান করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক গ্লাস উষ্ণ গরম জল পান করলে আমাদের
Read Moreপ্রায় 2500 বছর ধরে আমরা চিনি ব্যবহার করে আসছি। এই সময়ের আগে মধু এবং ফলই ছিল একমাত্র মিষ্টি পদার্থ। দিনকে দিন আমাদের জীবনে চিনির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে, অথচ পুষ্টি হিসাবে চিনির তেমন কোন ভূমিকা নেই। এটি কেবল স্বাদ উপভোগ করার জন্য এবং প্রিয়জনদের স্বাগত জানানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
ইংল্যান্ডের অধ্যাপক জন ইউডকিন (John Yudkin) চিনির বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে বিশেষভাবে গবেষণা করেছেন। তিনি চিনিকে সাদা বিষ বলে উল্লেখ করেছেন। চিনির কোন শারীরবৃত্তিয় প্রয়োজন নেই। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরি ও পুষ্টি আমরা শাকসবজি, শস্য ও ফল থেকে পেতে পারি।
চিনি থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করলে শরীরে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। এর ফলে ওজন বেড়ে যায় ও বিভিন্ন রোগব্যাধির হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। অতএব সাদা চিনি থেকে প্রাপ্ত অতিরিক্ত ক্যালরি সম্পূর্ণ অবাঞ্ছিত। চিনিতে কোন ভিটামিন, খনিজ উপাদান বা পুষ্টি উপাদান থাকে না।
অনেকেই মনে করে যে চিনি তাৎক্ষণিক শক্তির উৎস; কিন্তু চিনি ও মিষ্টির মধ্যে পার্থক্য আছে। ফলের মিষ্টি স্বাদের কারণ হল ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ; কিন্তু চিনির মিষ্টির স্বাদের কারণ সুক্রোজ। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করলে দেহে রোগ ব্যধি বাড়ে। চিনি রক্তের কোলেস্টেরল বাড়ায় ও রক্তনালী স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস করে।
Read Moreযখন আমাদের চোখ অ্যালার্জেন অর্থাৎ অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থের সংস্পর্শে আসে, তখন আমাদের শরীর তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য হিস্টামিন তৈরি করে। হিস্টামিন নিঃসরণের ফলে চোখের পাতা ও চোখের সাদা অংশকে ঢেকে রাখা স্বচ্ছ টিস্যু কনজাংটিভায় জ্বালা হতে পারে। এছাড়া চোখ লাল হয়ে যায়, চুলকায়, চোখ দিয়ে জল পড়ে, চোখ ফুলে যায় ও অস্বস্তি হয়। সাধারণত উভয় চোখেই এই সমস্যা দেখা যায়।
অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিসের সাথে অন্যান্য আরও কিছু অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা যেতে পারে। মাথাব্যথা, নাক বন্ধ হওয়া, হাঁচি, কাশি, নাক চুলকানো, নাক থেকে জল পড়া, ক্লান্তি, চোখের নিচে কালো দাগ ইত্যাদি সমস্যা দেখা যেতে পারে।
Read Moreগিলান ব্যারি সিনড্রোম হল একটি বিরল অটোইমিউন রোগ যা আমাদের প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র কে অকেজো করে তোলে। স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। কিন্তু গিলান ব্যারি সিনড্রোম-এর ক্ষেত্রে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা রোগ জীবাণুকে ধ্বংস করতে গিয়ে অতি সক্রিয় হয়ে ভুল করে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র কে আক্রমণ করে।
মায়োলিন নামক পদার্থ স্নায়ুর আবরণ তৈরি করে। এছাড়া মায়োলিন আবরণী বার্তা পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গিলান ব্যারি সিনড্রোম হলে আমাদের ইমিউন সিস্টেম স্নায়ুর এই মায়োলিন আবরণীর ক্ষতি করে। এরফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ুগুলি স্পাইনাল কর্ড ও মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে পারে না। একারণে অসারতা অনুভব হয় ও পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই রোগ হঠাৎ করে শুরু হয় এবং কয়েক ঘণ্টা, দিন বা সপ্তাহের মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করে।
Read Moreকোলাজেন হল একটি তন্তু জাতীয় প্রোটিন যা আমাদের ত্বকের গঠনের 75 শতাংশ তৈরি করে। এটি আমাদের ত্বকের প্রধান বুনিয়াদ। কোলাজেন পেশি, হাড়, টেন্ডন, রক্তনালী, পৌষ্টিকতন্ত্র ইত্যাদি সহ অসংখ্য টিস্যুতে উপস্থিত থাকে। এটি ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে ও শরীরের কাজ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোলাজেনের মাত্রা কমে গেলে আমাদের স্বাস্থ্যের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কোলাজেনের উৎপাদন স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পায়। কোলাজেনের অভাব হলে স্কার্ভি, রক্তাল্পতা, দুর্বলতা, ক্ষত নিরাময়ে দেরি হওয়া, হাড় দুর্বল হয়ে পড়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
Read Moreমহিলাদের যৌনাঙ্গ অর্থাৎ যোনিতে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা প্রোটোজোয়ার সংক্রমণ সাধারণ বিষয়। কিন্তু অনেক সময় যোনিতে কৃমি বা পোকার আক্রমণ হতে পারে। বিশেষ করে গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। তবে এই বিষয় নিয়ে তেমন কোন আলোচনা শুনতে পাওয়া যায় না। এই প্রতিবেদনে, যোনিতে কৃমি ও পোকার আক্রমণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
যোনিতে দীর্ঘমেয়াদি রোগ ব্যাধির চিকিৎসা করার সময় ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, প্রোটোজোয়া ইত্যাদির সংক্রমণের কথা চিন্তা করা হলেও, কৃমি বা পোকার সংক্রমণের কথা মাথায় আসে না। যোনিতে কৃমি ও পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা অস্বাভাবিকভাবে উপেক্ষা করা হয়। আর এর ফলে রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে।
Read Moreমলদ্বারে চুলকানি হল একটি অস্বস্তিকর সাধারণ সমস্যা। আমরা অনেকে নিজেরাই বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বা মলম ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। তবে অনেক সময় এই সমস্যা জটিল কোন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এই প্রতিবেদনে মলদ্বারে চুলকানির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
মলদ্বারে চুলকানি কী? What is Anal Itching?
মলদ্বারের চুলকানি হল এমন একটি অবস্থা যেখানে মলদ্বারের চারপাশে তীব্র চুলকানি হয়। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের এবং 40 বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। রাত্রে মলদ্বারে চুলকানি হলে সেটা খুব বিরক্তিকর। এই সমস্যা আমাদের জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করতে পারে।
Read Moreগবেষকরা সজনে গাছকে অলৌকিক বা বিস্ময়কর গাছ বলে অভিহিত করেছেন। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর উদ্ভিদগুলির মধ্যে অন্যতম। একারণে সজনে পাতা ও ফলকে নিউট্রিশনস সুপারফুড বলা হয়। এই গাছের পাতা, ফুল, ফল, শিকড় ইত্যাদির মধ্যে জীবন-ধারণকারী পুষ্টি উপাদান ও রোগজীবাণু ধ্বংসকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে।
এক গ্রাম সজনে পাতায় কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন C, দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন A এবং কলার চেয়ে তিনগুণ বেশি পটাশিয়াম থাকে সজনে পাতায়। এরফলে এটি অন্ধত্ব, রক্তাল্পতা ও বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ দূর করতে পারে। সজনেতে আছে প্রচুর পরিমাণ জিংক ও আয়রন, যা রক্তাল্পতা দূর করে। এছাড়া আছে সোডিয়াম, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন B2, ভিটামিন B3, অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফাইবার ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান। অ্যামাইনো অ্যাসিড পেশির মেরামত ও গঠনে সাহায্য করে এবং ফাইবার হজমে সাহায্য করে।
Read Moreআমাদের হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য। আমাদের হার্ট, স্নায়ু ও পেশির কাজ স্বাভাবিক রাখতে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়ামের অন্যতম উল্লেখযোগ্য উৎস হল দুধ। এক গ্লাস অর্থাৎ প্রায় 250 মিলিলিটার দুধে 300 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। প্রতিদিনের ক্যালসিয়াম চাহিদার 25 শতাংশ আমরা দুধ থেকে পেতে পারি। তবে দুধই ক্যালসিয়ামের একমাত্র এবং সর্বোত্তম উৎস এমন নয়। বেশ কিছু খাদ্য আছে যেগুলিতে দুধের চেয়েও বেশি পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
দুধের চেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম থাকে এমন খাবারগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
Read Moreইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কী? What is Intermittent Fasting?
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হল আপনার প্রতিদিনের খাওয়াকে একটি নির্দিষ্ট এবং পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবদ্ধ করা। আপনি কী খাচ্ছেন তার থেকে আপনি কখন খাচ্ছেন সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। খাওয়া ও না খাওয়ার সময়ের পর্যায়ক্রম মেনে চলাটা এখানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ কিছু সময় টানা কোন খাদ্য গ্রহণ না করে উপবাস করতে হবে এবং তারপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং পদ্ধতি আছে। তবে সর্বাপেক্ষা প্রচলিত পদ্ধতি হল 5 অনুপাত 2 খাদ্যাভ্যাস এবং 16 অনুপাত 8 খাদ্যাভ্যাস। তবে বর্তমানে 16 অনুপাত 8 খাদ্যাভ্যাস বেশি জনপ্রিয়।
5 অনুপাত 2 ফাস্টিং এর ধারণাটি হল; সপ্তাহের পাঁচ দিন ক্যালোরির কথা না ভেবে সাধারণভাবে খাবার গ্রহণ করা। এবার পরের দুই দিন মহিলারা 500 ক্যালোরি খাদ্য গ্রহণ করবেন এবং পুরুষেরা 600 ক্যালোরি খাদ্য গ্রহণ করবেন। সপ্তাহের যেকোন দুইদিন কম ক্যালরি গ্রহণ করে এই উপবাস করা হয়।
16 অনুপাত 8 ফাস্টিং পদ্ধতিতে 16 ঘণ্টা উপবাস করা হয় এবং পরবর্তী 8 ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন সময় খাদ্য গ্রহণ করা হয়। 8 ঘণ্টা সময়ের মধ্যে একটি জলখাবার ও দুটি মিল অর্থাৎ সম্পূর্ণ খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে। সাধারণত সন্ধ্যা 6টা বা 7টা সময় রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার পর পরবর্তী 16 ঘণ্টা উপবাস করতে হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত জল পান করতে হয়। সারারাত অনাহারে কাটার পর সকাল 10টা বা 11টা সময় ব্রেকফাস্ট বা জলখাবার গ্রহণ করতে হয়। বেলা 1টা বা 2টো সময় দুপুরের খাবার গ্রহণ করতে হয়।
খাদ্য গ্রহণ করার সময় খাবারের পরিমাণ ও গুণগত মানের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। ওজন কমাতে চাইলে কোনভাবেই অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করা চলবে না। এছাড়া চিনিযুক্ত পানীয় অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে। তবে চিনি বিহীন চা, কফি ইত্যাদি পান করা যেতে পারে। দুপুর ও রাত্রের খাবার পুষ্টিকর হওয়া প্রয়োজন। খাদ্যে পর্যাপ্ত খনিজ উপাদান ও ভিটামিন থাকা দরকার। পছন্দের খাবার অবশ্যই গ্রহণ করা যেতে পারে, তবে সেটা যেন অতিরিক্ত ক্যালরি-যুক্ত না হয়।
Read More