রক্ত পরীক্ষা Blood Test

রক্ত পরীক্ষা Blood Testল্যাব টেস্ট Lab Testস্বাস্থ্যকর চুল Healthy Hair

সিরাম আয়রন টেস্ট: Serum Iron Test:

রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার প্রধান কারণ হল দেহে আয়রন অর্থাৎ লোহার অভাব। শরীরে আয়রনের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রা অপেক্ষা বেশি বা কম হলে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়। আরও জানতে প্রতিবেদনটি পড়তে দেখতে থাকুন।

রক্তের প্রধান উপাদান হল রক্তরস এবং রক্তকণিকা। রক্তের মধ্যে থাকা রক্তকণিকা গুলি জমাট বাঁধলে যে হলদে তরল অবশিষ্ট থাকে তাকে সিরাম বলা হয়।

সিরাম আয়রন টেস্টের সাহায্যে; দেহের মধ্যে আয়রনের পরিমাণ কেমন আছে সেটা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আয়রন একটি অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদান যা আমরা খাদ্যের মাধ্যমে গ্রহণ করি। লোহিত রক্ত কণিকায় উপস্থিত হিমোগ্লোবিন আমাদের দেহে অক্সিজেন পরিবহন করে। এই হিমোগ্লোবিনের প্রধান উপাদান হল আয়রন বা লোহা।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testরোগ ও ব্যাধি Health Condition

ডেঙ্গি জ্বর পরীক্ষা: Dengue Fever Test:

ডেঙ্গি জ্বর হলে, কোন পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষা করলে সঠিক ফলাফল জানা যাবে এবং পরীক্ষার আগে কী নিয়ম মেনে চলতে হবে সেটা জানতে প্রতিবেদনটি পড়তে থাকুন।

ডেঙ্গি জ্বর হল ভাইরাস ঘটিত একটি রোগ। এডিশ নামক মশা এই রোগের ভাইরাসের বাহক। এডিশ মশা, রোগাক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে ভাইরাস গ্রহণ করে সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করায়। সাধারণত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।

ডেঙ্গি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে বেশিরভাগ রোগীদের তেমন কোন লক্ষণ দেখা যায় না। অনেক সময় সামান্য জ্বর, মাথা ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা ইত্যাদি দেখা যায়। এই লক্ষণগুলি প্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে যায়। আরও যেসকল লক্ষণ দেখা যায় সেগুলি হল, চোখের পিছনে ব্যথা, মাসেল ও জয়েন্টে ব্যথা, চামড়ায় র‍্যাস বেরোনো, বমি হওয়া ও গ্ল্যাণ্ড ফোলা ইত্যাদি।

কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গি জ্বর বিপজ্জনক হতে পারে। ডেঙ্গির বিপদ জনক অবস্থাকে বলা হয় “ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভার”। এক্ষেত্রে জীবনহানিকর কিছু লক্ষণ দেখা যায়। রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রক্তপাত হওয়া, রক্তের চাপ কমে যাওয়া এবং দেহের কোন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া, ইত্যাদি হতে পারে। এছাড়া নাক দিয়ে রক্তপাত, রক্তবমি, মলের মধ্যে রক্তপাত, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি রোগ লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testরোগ ও ব্যাধি Health Conditionল্যাব টেস্ট Lab Test

লাইপেজ পরীক্ষা: উদ্দেশ্য, পদ্ধতি ও ফলাফল। Lipase Test: Purpose, Procedure and Resut.

রক্তে লাইপেজের মাত্রা বেশি মানে অগ্ন্যাশয় থেকে লাইপেজ, পৌষ্টিকতন্ত্রের প্রবাহিত হতে পারছে না। এটা হতে পারে, পিত্ত-থলিতে পাথর হলে, অন্ত্রে কোন বাধার সৃষ্টি হলে বা অটো ইমিউন রোগে পৌষ্টিক তন্ত্রের ক্ষতি হলে। গ্রুটেন যুক্ত খাদ্য থেকে হওয়া অ্যালার্জির কারণে অন্ত্রের ক্ষতি হলে, পাকস্থলীতে আলসার হলে, পরিপাকতন্ত্রে সংক্রমণ বা প্রদাহ হলে, রক্তে লাইপেজের মাত্রা বেশি হয়। তবে অগ্ন্যাশয় অসুস্থ হলে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লাইপেজের মাত্রা বৃদ্ধি ঘটে। অগ্ন্যাশয় সংক্রমণ হলে, ক্যান্সার হলে, লাইপেজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া গলব্লাডারে সিস্ট হলে, লিভারে সিরোসিস হলে, কিডনি অসুস্থ হলে, লাইপেজের মাত্রা বৃদ্ধি ঘটে। বেশ কিছু ওষুধ আছে যা সেবন করলে লাইপেজ বাড়ে।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testরোগ ও ব্যাধি Health Conditionল্যাব টেস্ট Lab Test

সি রিয়াকটিভ প্রোটিন রক্ত পরীক্ষা: C Reactive Protein Test:

লিভার অর্থাৎ যকৃত থেকে সি রিয়াকটিভ প্রোটিন উৎপন্ন হয়। দেহের মধ্যে ইনফ্লামেশন অর্থাৎ প্রদাহ সৃষ্টি হলে সি রিয়াকটিভ প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (LDL) রক্তনালীর গহ্বর সংকীর্ণ করে দেয় এবং রক্তনালীর গায়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে। রক্তনালীর গায়ের এই প্রদাহ বা ইনফ্লামেশনকে সারিয়ে তুলতে আমাদের শরীর কিছু প্রোটিনকে কাজে লাগায়। সি রিয়াকটিভ প্রোটিন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।সি রিয়াকটিভ প্রোটিন টেস্ট এর সাহায্যে রক্তের মধ্যে এই বিশেষ প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা সেটা দেখা হয়। দেহে এই মুহূর্তে কোন তীব্র বা দীর্ঘকালীন প্রদাহ অর্থাৎ ইনফ্লামেশন আছে কিনা সেটা এই টেস্টের সাহায্যে বোঝা যায়।সি রিয়াকটিভ প্রোটিনের উৎপাদন খুবই স্পর্শকাতর। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সি রিয়াকটিভ প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। দেহের মধ্যে কোন আঘাত লাগলে, কোন ইনফেকশন হলে বা কোন প্রদাহ অর্থাৎ ইনফ্লামেশন হলে, সি রিয়াকটিভ প্রোটিন উৎপাদিত হয়।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testল্যাব টেস্ট Lab Test

রক্তের পটাশিয়াম পরীক্ষা এবং নরমাল লেভেল: Potassium Test and Normal Range:

রক্তের পটাশিয়াম পরীক্ষা এবং নরমাল লেভেল: Potassium Test and Normal Range:

পটাশিয়াম হল এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রোলাইট, যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্র ও মাংসপেশির কাজ স্বাভাবিক রাখে। শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা সামান্য কমবেশি হলে মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। কী কী সমস্যা দেখা দিলে পটাশিয়াম পরীক্ষা করা প্রয়োজন এবং পরীক্ষার আগে কী কী নিয়ম মেনে চলা দরকার, সেটা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

Read More
Healthy Lifestyle স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রারক্ত পরীক্ষা Blood Testল্যাব টেস্ট Lab Test

রক্তের সোডিয়াম পরীক্ষা এবং নরমাল লেভেল: Sodium blood test and normal level:

রক্তের সোডিয়াম পরীক্ষার ফলাফলের ব্যাখ্যা: Interpretation of blood sodium test results:

সাধারণত সোডিয়াম পরীক্ষার ফলাফলের ব্যাখ্যা করা হয়, অন্য কিছু ইলেক্ট্রোলাইট যেমন পটাশিয়াম, ক্লোরাইড ইত্যাদির কথা মাথায় রেখে। রক্তে সোডিয়াম পরিমাণ কম হতে পারে কিছু রোগে যেমন, ডায়রিয়া, বমি, অত্যধিক ঘেমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে। শরীরে কিছু হরমোন যেমন কর্টিসোল Cortisol, অ্যালডোস্টেরন Aldosterone ও যৌন হরমোন কম ক্ষরণের কারণে, রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কম হতে পারে।

অতিরিক্ত জল পান করলে, হার্ট ফেলিওরের, সিরোসিস বা কিডনি রোগে, দেহে ফ্লুইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কম হয়। পিটুইটারি গ্রন্থিতে টিউমার সৃষ্টি হয়ে এ ডি এইচ ADH অর্থাৎ অ্যাণ্টি ডাইইউরেটিক হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেলে মূত্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত জল শরীর থেকে নির্গত হতে বাধা পায় এবং দেহে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায়। এর ফলে মস্তিষ্ক ও ফুসফুসের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়।

অপরদিকে, দেহে জলের পরিমাণ কমে গেলে, জল কম পান করলে সোডিয়াম এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কুসিং Cushing বর্ণিত রোগে, ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস নামক রোগে, রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি হয়। অতিরিক্ত লবণাক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testরোগ ও ব্যাধি Health Conditionল্যাব টেস্ট Lab Test

ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরণ টেস্ট: Dihydrotestosterone (DHT) Test:

সেক্স ড্রাইভ বা যৌন মিলনের ইচ্ছা বৃদ্ধি করতে টেস্টোস্টেরনের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরণ হরমোন। যৌন মিলনের প্রথমেই কেউ অতিমাত্রায় সক্রিয় হতে পারে না। সেক্স ড্রাইভে পারদর্শী হতে একটু সময় লাগে। কেন এমন হয় তার কারণ খুঁজে পেয়েছেন হাবার্ড মেডিকেল স্কুলের বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যারা ঘন ঘন যৌন মিলনে অংশ নেয়, তাদের দেহে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরণ পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আবার দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ  ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরণ উৎপন্ন হলে যৌন মিলনের ইচ্ছা বাড়ে। অর্থাৎ যৌন মিলনই যৌন মিলনের ইচ্ছেকে বাড়িয়ে তোলে এবং বারে বারে মিলিত হতে সাহায্য করে।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testরোগ ও ব্যাধি Health Conditionল্যাব টেস্ট Lab Test

উইডাল বা ভিডাল টেস্ট: টাইফয়েড জ্বর পরীক্ষা: Widal Test: Typhoid Fever Test:

টাইফয়েড জ্বর পরীক্ষা করতে উইডাল নামক টেস্ট, ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে সর্বাধিক প্রচলিত। এই পরীক্ষার সাহায্যে সহজে, কম খরচে, তাড়াতাড়ি, জ্বরের কারণ টাইফয়েড ইনফেকশন কিনা সেটা জানা যায়। এই পরীক্ষাটি খুব বেশি নির্ভরযোগ্য না হলেও, প্রাথমিক ধারণা পেতে এটি খুব কার্যকরী। অবশ্য দেহে জর না থাকলেও এই পরীক্ষা পজিটিভ হতে পারে।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testরোগ ও ব্যাধি Health Conditionল্যাব টেস্ট Lab Test

হেপাটাইটিস সি পরীক্ষা: Hepatitis C Testing:

হেপাটাইটিস সি’ এর ইনফেকশন থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও হেপাটাইটিস সি অ্যান্টিবডি টেস্ট (Hepatitis C Antibody Test) পজিটিভ হয়। একারণে হেপাটাইটিস সি ভাইরাল আর এন এ টেস্ট করে রোগীর দেহে এই মুহূর্তে ভাইরাস আক্রমণ কি পর্যায়ে আছে সেটা জেনে নেওয়া যায়। রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কিনা বা চিকিৎসার ফলে রোগীর কতটা উন্নতি হল, সেটা সম্পর্কে ধারণা পেতে হেপাটাইটিস সি ভাইরাল আর এন এ টেস্ট করা প্রয়োজন। এর সাথে লিভার ফাংশন টেস্ট (Liver Function Test) করলে আরও ভালোভাবে রোগীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testরোগ ও ব্যাধি Health Conditionল্যাব টেস্ট Lab Test

প্রোথমবিন টাইম পরীক্ষা: Prothrombin Time Test (PT/International Normalized Ratio):

আমাদের দেহের কোনও অংশ কেটে গেলে রক্তপাত শুরু হয়। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। দেহের যে স্থানে কেটে যায়, সেই স্থানের রক্ত জমাট বেঁধে রক্তপাত বন্ধ হয়। এই ঘটনাকে রক্ত তঞ্চন বলে। রক্ত জমাট বাঁধতে কতটা সময় লাগতে পারে, সেটা জানা যায় রক্তের প্রোথমবিন টাইম Prothrombin Time পরীক্ষা করে। প্রোথমবিন টাইম কে গাণিতিক হিসেবের সাহায্যে ইন্টারন্যাশনাল নরম্যালাইজড রেশিও (International Normalization Ratio) হিসাবেও প্রকাশ করা হয়।

Read More