ল্যাব টেস্ট Lab Test

রক্ত পরীক্ষা Blood Testরোগ ও ব্যাধি Health Conditionল্যাব টেস্ট Lab Test

ল্যাকটেট ডিহাইড্রোজিনেজ (LDH) টেস্ট: Lactate Dehydrogenase (LDH) Test / LD Test / Lactic Acid Dehydrogenase:

ল্যাকটেট ডিহাইড্রোজিনেজ টেস্ট কী? What is Lactate Dehydrogenase Test?

এটি হল এক প্রকার উৎসেচক। শর্করা থেকে শক্তি উৎপাদন করার সময় ল্যাকটেট ডিহাইড্রোজিনেজ প্রয়োজন হয়। দেহের বিভিন্ন অঙ্গে ল্যাকটেট ডিহাইড্রোজিনেজ উপস্থিত থাকে। লিভার, হৃৎপিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, কিডনি, পেশী, লসিকা কলা এবং রক্ত কণিকার মধ্যে LDH অর্থাৎ ল্যাকটেট ডিহাইড্রোজিনেজ উপস্থিত থাকে।

দেহের কোন অংশে আঘাত লাগলে বা দেহকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, রক্তে LDH এর মাত্রা বৃদ্ধি ঘটে। অর্থাৎ রক্তে LDH এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে বুঝতে হবে যে, দেহে তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী কোন ক্ষতি হয়েছে। তবে কী কারণে ক্ষতি হয়েছে সেটা জানতে আরও কিছু পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testল্যাব টেস্ট Lab Testস্বাস্থ্যকর চুল Healthy Hair

সিরাম আয়রন টেস্ট: Serum Iron Test:

রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার প্রধান কারণ হল দেহে আয়রন অর্থাৎ লোহার অভাব। শরীরে আয়রনের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রা অপেক্ষা বেশি বা কম হলে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়। আরও জানতে প্রতিবেদনটি পড়তে দেখতে থাকুন।

রক্তের প্রধান উপাদান হল রক্তরস এবং রক্তকণিকা। রক্তের মধ্যে থাকা রক্তকণিকা গুলি জমাট বাঁধলে যে হলদে তরল অবশিষ্ট থাকে তাকে সিরাম বলা হয়।

সিরাম আয়রন টেস্টের সাহায্যে; দেহের মধ্যে আয়রনের পরিমাণ কেমন আছে সেটা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আয়রন একটি অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদান যা আমরা খাদ্যের মাধ্যমে গ্রহণ করি। লোহিত রক্ত কণিকায় উপস্থিত হিমোগ্লোবিন আমাদের দেহে অক্সিজেন পরিবহন করে। এই হিমোগ্লোবিনের প্রধান উপাদান হল আয়রন বা লোহা।

Read More
Healthy Lifestyle স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাল্যাব টেস্ট Lab Testসংবাদ News

বীর্য পরীক্ষা: রিপোর্ট বুঝে নিন। Semen Analysis: Semen Test:

সিমেন বা বীর্য হল এক প্রকার তরল ঘন তরল যা যৌন ক্রিয়াকলাপের সময় পুরুষের লিঙ্গ থেকে নির্গত হয়। বীর্যের মধ্যে শুক্রাণু থাকে।  

 বীর্য পরীক্ষার সাহায্যে একজন পুরুষ সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম না অক্ষম সেটা জানা যায়। জন্মনিয়ন্ত্রণ করার ভ্যাসেকটমি অপারেশন সফল হয়েছে কিনা সেটাও বোঝা যায়। বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা, শুক্রাণুর আকার, আকৃতি, চলাচলের ক্ষমতা ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। বীর্যে কোন ইনফেকশন হয়েছে কিনা সেটাও দেখা হয়।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testরোগ ও ব্যাধি Health Conditionল্যাব টেস্ট Lab Test

লাইপেজ পরীক্ষা: উদ্দেশ্য, পদ্ধতি ও ফলাফল। Lipase Test: Purpose, Procedure and Resut.

রক্তে লাইপেজের মাত্রা বেশি মানে অগ্ন্যাশয় থেকে লাইপেজ, পৌষ্টিকতন্ত্রের প্রবাহিত হতে পারছে না। এটা হতে পারে, পিত্ত-থলিতে পাথর হলে, অন্ত্রে কোন বাধার সৃষ্টি হলে বা অটো ইমিউন রোগে পৌষ্টিক তন্ত্রের ক্ষতি হলে। গ্রুটেন যুক্ত খাদ্য থেকে হওয়া অ্যালার্জির কারণে অন্ত্রের ক্ষতি হলে, পাকস্থলীতে আলসার হলে, পরিপাকতন্ত্রে সংক্রমণ বা প্রদাহ হলে, রক্তে লাইপেজের মাত্রা বেশি হয়। তবে অগ্ন্যাশয় অসুস্থ হলে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লাইপেজের মাত্রা বৃদ্ধি ঘটে। অগ্ন্যাশয় সংক্রমণ হলে, ক্যান্সার হলে, লাইপেজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া গলব্লাডারে সিস্ট হলে, লিভারে সিরোসিস হলে, কিডনি অসুস্থ হলে, লাইপেজের মাত্রা বৃদ্ধি ঘটে। বেশ কিছু ওষুধ আছে যা সেবন করলে লাইপেজ বাড়ে।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testরোগ ও ব্যাধি Health Conditionল্যাব টেস্ট Lab Test

সি রিয়াকটিভ প্রোটিন রক্ত পরীক্ষা: C Reactive Protein Test:

লিভার অর্থাৎ যকৃত থেকে সি রিয়াকটিভ প্রোটিন উৎপন্ন হয়। দেহের মধ্যে ইনফ্লামেশন অর্থাৎ প্রদাহ সৃষ্টি হলে সি রিয়াকটিভ প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (LDL) রক্তনালীর গহ্বর সংকীর্ণ করে দেয় এবং রক্তনালীর গায়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে। রক্তনালীর গায়ের এই প্রদাহ বা ইনফ্লামেশনকে সারিয়ে তুলতে আমাদের শরীর কিছু প্রোটিনকে কাজে লাগায়। সি রিয়াকটিভ প্রোটিন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।সি রিয়াকটিভ প্রোটিন টেস্ট এর সাহায্যে রক্তের মধ্যে এই বিশেষ প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা সেটা দেখা হয়। দেহে এই মুহূর্তে কোন তীব্র বা দীর্ঘকালীন প্রদাহ অর্থাৎ ইনফ্লামেশন আছে কিনা সেটা এই টেস্টের সাহায্যে বোঝা যায়।সি রিয়াকটিভ প্রোটিনের উৎপাদন খুবই স্পর্শকাতর। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সি রিয়াকটিভ প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। দেহের মধ্যে কোন আঘাত লাগলে, কোন ইনফেকশন হলে বা কোন প্রদাহ অর্থাৎ ইনফ্লামেশন হলে, সি রিয়াকটিভ প্রোটিন উৎপাদিত হয়।

Read More
রোগ ও ব্যাধি Health Conditionল্যাব টেস্ট Lab Testসংবাদ News

কনভালেসেণ্ট প্লাজমা থেরাপি: Convalescent Plasma Therapy:

দেহের পক্ষে ক্ষতিকর কোন জীবাণু আমাদের দেহে প্রবেশ করলে, আমাদের দেহে অবস্থিত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অর্থাৎ ইমিউন সিস্টেম ওই জীবনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর ফলে জীবাণুকে ধ্বংস হয়। জীবাণুদের ধ্বংস করার জন্য আমাদের দেহে অ্যাণ্টিবডি নামক পদার্থ উৎপন্ন হয়। এই অ্যাণ্টিবডি রক্তরস অর্থাৎ প্লাজমার মধ্যে অবস্থান করে। যে জীবাণুর আক্রমণে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়, কেবলমাত্র সেই জীবাণুকে এই অ্যান্টিবডি ধ্বংস করে। শরীরের অন্য কোন অঙ্গের কোন ক্ষতি করে না।

Read More
খাদ্য ও পানীয় Food & Drinksরোগ ও ব্যাধি Health Conditionল্যাব টেস্ট Lab Test

মলের মধ্যে রক্ত পরীক্ষা (অকাল্ট ব্লাড টেস্ট)। Occult Blood Test:

মলের মধ্যে রক্ত আছে কিনা সেটা জানার জন্য সাধারণত মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করে লোহিত রক্ত কণিকা আছে কিনা সেটা দেখা হয়। কিন‍্তু অনেক সময় লোহিত কণিকা ভেঙ্গে গিয়ে হিমোগ্লোবিন মলের মধ্যে মিশে যায়। এক্ষেত্রে মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করে মলে রক্ত আছে কিনা, সেটা বোঝা সম্ভব হয় না। প্রয়োজন হয় অকাল্ট ব্লাড টেস্ট নামক রাসায়নিক পরীক্ষা। মলের মধ্যে অতি সামান্য পরিমাণ রক্ত উপস্থিত থাকলেও এই পরীক্ষার সাহায্যে সনাক্ত করা সম্ভব হয়।

মলের অকাল ব্লাড টেস্ট করার আগে কী নিয়ম মেনে চলা উচিত, কিভাবে মল সংগ্রহ করা উচিত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে এই প্রতিবেদনে।

Read More
রক্ত পরীক্ষা Blood Testল্যাব টেস্ট Lab Test

রক্তের পটাশিয়াম পরীক্ষা এবং নরমাল লেভেল: Potassium Test and Normal Range:

রক্তের পটাশিয়াম পরীক্ষা এবং নরমাল লেভেল: Potassium Test and Normal Range:

পটাশিয়াম হল এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রোলাইট, যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্র ও মাংসপেশির কাজ স্বাভাবিক রাখে। শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা সামান্য কমবেশি হলে মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। কী কী সমস্যা দেখা দিলে পটাশিয়াম পরীক্ষা করা প্রয়োজন এবং পরীক্ষার আগে কী কী নিয়ম মেনে চলা দরকার, সেটা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

Read More
Healthy Lifestyle স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রারক্ত পরীক্ষা Blood Testল্যাব টেস্ট Lab Test

রক্তের সোডিয়াম পরীক্ষা এবং নরমাল লেভেল: Sodium blood test and normal level:

রক্তের সোডিয়াম পরীক্ষার ফলাফলের ব্যাখ্যা: Interpretation of blood sodium test results:

সাধারণত সোডিয়াম পরীক্ষার ফলাফলের ব্যাখ্যা করা হয়, অন্য কিছু ইলেক্ট্রোলাইট যেমন পটাশিয়াম, ক্লোরাইড ইত্যাদির কথা মাথায় রেখে। রক্তে সোডিয়াম পরিমাণ কম হতে পারে কিছু রোগে যেমন, ডায়রিয়া, বমি, অত্যধিক ঘেমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে। শরীরে কিছু হরমোন যেমন কর্টিসোল Cortisol, অ্যালডোস্টেরন Aldosterone ও যৌন হরমোন কম ক্ষরণের কারণে, রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কম হতে পারে।

অতিরিক্ত জল পান করলে, হার্ট ফেলিওরের, সিরোসিস বা কিডনি রোগে, দেহে ফ্লুইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কম হয়। পিটুইটারি গ্রন্থিতে টিউমার সৃষ্টি হয়ে এ ডি এইচ ADH অর্থাৎ অ্যাণ্টি ডাইইউরেটিক হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেলে মূত্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত জল শরীর থেকে নির্গত হতে বাধা পায় এবং দেহে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায়। এর ফলে মস্তিষ্ক ও ফুসফুসের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়।

অপরদিকে, দেহে জলের পরিমাণ কমে গেলে, জল কম পান করলে সোডিয়াম এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কুসিং Cushing বর্ণিত রোগে, ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস নামক রোগে, রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি হয়। অতিরিক্ত লবণাক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

Read More