প্রায় 2500 বছর ধরে আমরা চিনি ব্যবহার করে আসছি। এই সময়ের আগে মধু এবং ফলই ছিল একমাত্র মিষ্টি পদার্থ। দিনকে দিন আমাদের জীবনে চিনির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে, অথচ পুষ্টি হিসাবে চিনির তেমন কোন ভূমিকা নেই। এটি কেবল স্বাদ উপভোগ করার জন্য এবং প্রিয়জনদের স্বাগত জানানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
ইংল্যান্ডের অধ্যাপক জন ইউডকিন (John Yudkin) চিনির বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে বিশেষভাবে গবেষণা করেছেন। তিনি চিনিকে সাদা বিষ বলে উল্লেখ করেছেন। চিনির কোন শারীরবৃত্তিয় প্রয়োজন নেই। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরি ও পুষ্টি আমরা শাকসবজি, শস্য ও ফল থেকে পেতে পারি।
চিনি থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করলে শরীরে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। এর ফলে ওজন বেড়ে যায় ও বিভিন্ন রোগব্যাধির হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। অতএব সাদা চিনি থেকে প্রাপ্ত অতিরিক্ত ক্যালরি সম্পূর্ণ অবাঞ্ছিত। চিনিতে কোন ভিটামিন, খনিজ উপাদান বা পুষ্টি উপাদান থাকে না।
অনেকেই মনে করে যে চিনি তাৎক্ষণিক শক্তির উৎস; কিন্তু চিনি ও মিষ্টির মধ্যে পার্থক্য আছে। ফলের মিষ্টি স্বাদের কারণ হল ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ; কিন্তু চিনির মিষ্টির স্বাদের কারণ সুক্রোজ। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করলে দেহে রোগ ব্যধি বাড়ে। চিনি রক্তের কোলেস্টেরল বাড়ায় ও রক্তনালী স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস করে।
Read More