Blood Test, Pathological Lab Test রক্ত পরীক্ষা, প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবোরেটরি টেস্ট
Lab Test ল্যাবটেস্ট
Healthy Food Health Technology Master
স্বাস্থ্যকর খাদ্য Healthy Food
Health Technology Master Description
ABOUT ME আমাদের কথা
   

সিরাম ক্যালসিয়াম টেস্ট: Serum Calcium Test:

দেহে উপস্থিত খনিজ উপাদান গুলির মধ্যে ক্যালসিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত রুটিন হেলথ চেকআপ করার সময় এই টেস্ট করা হয়। আমাদের দেহের কোন অঙ্গ অসুস্থ হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সিরাম ক্যালসিয়ামের মাত্রার পরিবর্তন ঘটে। একারণে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করতে সিরাম ক্যালসিয়াম টেস্ট করা হয়।

আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাঁতের প্রধান উপাদান। ক্যালসিয়াম পেশির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তনালীর গহবরকে প্রয়োজনমতো ছোট বা বড় করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে সংবাদ আদান-প্রদানে ভূমিকা নেয়, হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে। কোন স্থান কেটে গেলে, রক্তপাত হলে, রক্ত জমাট বেঁধে রক্তপাত বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ক্যালসিয়াম।

   

ব্লাড কালচার টেস্ট: উদ্দেশ্য, পদ্ধতি ও ফলাফল। Blood Culture Test: Purpose, Procedure and Result.

ব্লাড কালচার পরীক্ষার সাহায্যে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের মতো রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু সনাক্ত করা হয়। এছাড়া জীবাণুটির বৃদ্ধি পরিমাপ করে রোগের তীব্রতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। রোগীর দেহ থেকে সংগ্রহ করা রক্তের নমুনা একটি পেট্রি ডিস বা টেস্ট টিউবে রাখা কৃত্রিম মাধ্যমে মেশানো হয়। এই মাধ্যমটি জীবাণুকে বড় হতে ও সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবার রক্তের নমুনা মিশ্রিত মাধ্যমটিকে নির্দিষ্ট তাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখা হয়। এরপর পেট্রি ডিস বা টেস্ট টিউবটি কয়েকদিন বা এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। জীবাণু বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা সেটা দেখা হয় এবং কত দ্রুত জীবাণুর বৃদ্ধি ঘটেছে সেটাও পর্যবেক্ষণ করা হয়। জীবাণুর বৃদ্ধি দেখা গেলে আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়। প্রয়োজনে আবার অন্য মাধ্যমে কালচার করা হয়। জীবাণুর পরিচয় জানার জন্য গ্রাম স্টেন নামক রঞ্জক ব্যবহার করে মাইক্রোস্কোপের নিচে দেখা হয়। এছাড়া আরও কিছু উন্নত পরীক্ষা যেমন পলিমারাইজ চেইন রিয়াকশন পরীক্ষা ইত্যাদি করা যেতে পারে।

রক্তের কালচার পরীক্ষার সাহায্যে জীবাণু সনাক্ত করার পাশাপাশি কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে চিকিৎসা করা দরকার সেটাও বোঝা যায়। কোন ধরনের ওষুধে রোগ সেরে যাবে এবং কোন ওষুধে রোগ সারবে না, সেটা জানতে এই টেস্ট বেশ উপযোগী। এই পরীক্ষার সাহায্যে রোগীর জন্য কোন চিকিৎসা পদ্ধতি সবচেয়ে উপযোগী সেটা বেছে নেওয়া সহজ হয়।

  

আন্টি – মুলেরিয়ান হরমোন টেস্ট: গুরুত্ব ও স্বাভাবিক মাত্রা। Anti – Mullerian Hormone (AMH) Test: Uses and Normal Values.

অ্যান্টি – মুলেরিয়ান হরমোন মহিলাদের ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন হয়। যদিও পুরুষদের দেহে এই হরমোন উৎপাদিত হয়, তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হরমোন পরীক্ষা করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে অ্যান্টি – মুলেরিয়ান হরমোন অর্থাৎ AMH এর মাত্রা পরীক্ষা করে মহিলাদের ডিম্বাশয় কতগুলি ডিম্ব আছে সেটা বোঝা যায়। সন্তান ধারণে কোন সমস্যা হলে এই হরমোন টেস্ট করে সমস্যা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। অ্যান্টি – মুলেরিয়ান হরমোন টেস্ট এর গুরুত্ব ও স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

স্বাস্থ্য সংবাদ Health news

সর্বাধুনিক প্রতিবেদন Latest Post